How to Root Any Device| Let's Learn

মোবাইল রুটিং কি? মোবাইল রুট করলে কি কি সুবিধার পাওয়া যায়? কিভাবে মোবাইল রুট করা যায়? 

মোবাইল রুট সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য যারা এই শব্দটির সাথে পরিচিত তারা খুব আগ্রহ প্রকাশ করে। আমি মনে করি একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী হিসবে সবারই মোবাল রুট সম্পর্কে জানা আবশ্যক।

How to Root Mobile

এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানা থাকলে তাহলে যেকোনো কেউ আপনাকে মোবাইল ফোনের গুরু মানবেই।

মোবাইল রুট/রুটিং কি?

সবচেয়ে সহজ ভাষায় বলতে গেলে রুট হচ্ছে একটি এডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক যা একজন স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীকে কে তার সিস্টেমটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে, এক কতায় সুপার ইজার।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, আপনার মোবাইলের সব কিছু উপার ক্ষমতাবার মানুষ তো শুধু আপনিই; তাহলে রুট করার কি দরকার

না, এখানে মোবাইলটি আপনার টাকা দিয়ে কিনলেও মোবাইলের সবকিছু উপার আপনার ক্ষমতা খাটে না।

 কথা আর না ঘুরিয়ে চলুন মূল বিষয় জানা যাক। মূলত একটি মোবাইল তৈরি পর সেটি চলার জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে দেয়। 

সচরাচর মোবাইলর জন্য দুই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম দেখা যায় 

  • এন্ড্রয়েড (Android)
  • ওআইএস (OIS)

আইফোন অপারেটিং সিস্টেমন হিসবে ওআইএস ব্যবহার করা হয় এবং অন্য মোবাইর গুলোতে এন্ড্রয়েড।

আবার অনেক সময় মোবাইল কোম্পানি ভেদে একই অপারেটিং সিস্টেমে চলা মোবাইলের মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে। মোবাইল কোম্পানিগুলো মূলত নিজেরাই একটু কাস্টমাইজড করে দেয়।

আরও পড়ুন.... 

মোবাইল রুট করার নিয়ম

দীর্ঘ দিন থেকে Kingo Root শুধুমাত্র কম্পিউটার এর মাধ্যমে এন্ড্রয়েড ফোন Root করার সুবিধা দিত।

বিগত ২/৪ বছর যাবৎ তারা Kingo Root এর Apk ভার্সন বের করেছে। ফলে এখন থেকে যাদের হাতে নাগালে কম্পিউটার নেই তারাও অত্যান্ত কার্যকরী এই App টি দিয়ে সহজে এন্ড্রয়েড মোবাইলটি রুট করে নিতে পারবেন। এ্যাপটি ডাউনলোড করুন।

  • এ্যাপটি ইন্সটল করে খুলুন। (মোবাইলের ইন্টারনেট কানেশন অবশ্যই একটিভ করে রাখবেন)
  • এরপর অ্যাপটি থেকে নীল কালারের One Click Root অপশনে ক্লিক করলে রুট হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
  • এই অংশে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শুধুমাত্র রুট না হওয়া পর্যন্ত করতে থাকুন। এটি তেমন বেশি সময় নিবে না। রুট সম্পন্ন হওয়ার সম্পন্ন 'Root Success' শো করবে।
Mobile Root Succussed

এতটুকু করলেই এই পদ্ধতীতে আপনার মোবাইল রুট হয়ে যাবে

আরও পড়ুন........ 

মোবাইল রুটে সুবিধা কি কি?

আপনি আপনার মোবাইলটি রুট করার সাথে সাথেই একজন সুপার ইউজার হয়ে যাবেন। তখন আপনি যেসব সুবিধা পাবে-

পারফর্মেন্স বুস্ট:

মোবাইল রুট করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি মুছে ফোনের গতি কয়েকগুন বৃদ্ধি করতে পারবেন।

সিপিইউ স্পিড বৃদ্ধি:

 মোবাইল রুট করলে সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করাবে। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।

ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি:

 ডিভাইস অনেক কিছু এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে সম্ভব। এতে করে ব্যাটারির ব্যকাপ বাড়ানো সম্ভব

পার্সোনাল কাস্টমাইজেশন:

আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদির বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন।

কাস্টম রোম ইন্সটল:

অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি মোবাইলের রূপ দিতে পারবেন। 

কিছু কিছু জিনিস বদলানো সম্ভব না, যেমন ক্যামেরা ৪০ মেগাপিক্সেল থেকে ৬৪ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

মোবাইল রুটে অসুবিধা কি কি?

মোবাইর রুট করলে আপনার যে যে অপকার হবে-

  • ওয়ারেন্টি বাতিল
  • মোবাইল ব্রিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা 
  • মোবালেইর সিকিউরিটি 

ডিভাইস রুট করলে আপনার যদি ওয়ারেন্টি থাকে তাহলে তা বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে ভেবে চিন্তে করবেন।

অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে, সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।

ফোন ব্রিক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত হওয়া। অর্থাৎ, এর চলার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

যেকোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি গুলা এজন্যই আনরুট অবস্থায় দেয় যেন কোন ক্ষতি না হয়। আর রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা বলি দিয়েছেন তাই এর দায়ভার কোম্পানি নিবে না।

যেতেহু আপনি রুট করার মাধ্যমে সব ক্ষমতা আপনার কর নিয়েছেন ফলে কোম্পানি বা অপারেটিং সিস্টেম আপনার মোবাইলকে আর সুরক্ষা করবে না। 

যার ফলে আপনা৷ মোবাইল হ্যাকার বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

কিভাবে বুঝব মোবাইল রুট করা কিনা?

আপনি ফোন রুট করা কিনা তা বুঝার দুইটি পদ্ধতি রয়েছে 
  1. Settings App:

    • আপনার মোবাইলের  Settings যান।
    • নিচের দিকে চলুন আসুন About Phone-এ ক্লিক করুন
    • Status Information অথবা Phone Status খুঁজুন 
    • যদি এখানে “Official,” লিখা থাকে তাহলে আপনার মোবাইল রুট করা হয়নি.আর যদি "Customলিখা থাকে তাহলে রুট করা হয়েছে।
  2. রুট ক্রেকিং অ্যাপ 
    • Google play store থেকে একটি রুট ক্রেকিং অ্যাপ ডাউলোউ করুন.
    • সেখানে দেওয়া নির্দেশিকাগুলো অনুসরণ করুন.

উপসংহার

আশা করি আপনারা রুট কি, রুট কিভাবে করে, এর সুবিধা কি, অসুবিধা কি, এই নিয়ে বিস্তারিত জেছেন

রুট নিয়ে চাইলে আরো বিস্তারিত বলা যায় এগুলা ছিল মূলত ব্যসিক ধারনা।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

Comments