How to Check Whether Phone is Official or Not! (Here is How))

আপনার হতে থাকা ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আন-অফিসিয়াল, বৈধ নাকি অবৈধ। যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে সরকার যেকোন সময় আপনার ফোন অকার্যকর করে দিতে পারে!

আধুনিক জীবনে একদিনও স্মার্টফোন ছাড়া কল্পনা করা কঠিন। এই স্মার্ট ফোনটিই মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকার, ছবি তুলার, সিনেমা দেখার অন্যতম মাধ্যম।

বর্তমানে মানুষ স্মার্ট ফোনকে একটি বিলাসিতার জিনিস হিসেবেও গড়ে তুলেছে তাই তো মানুষ এক-দেড় লক্ষ টাকা মোবইল কিনে।

কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি তখনই হয় যখন আপনি জানতে পারবেন যে আপনার ফোনটি বৈধ বা অফিসিয়াল নয় এবং যে-কোন সময় সরকার আপনার ফোনটি বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া নানান সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন।

তাই আপনাকে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হিসেবে একটি মোবাইল অফিসিয়াল-আনঅফিসিয়াল সম্মর্কে ধারণা রাখতে হবে।

মোবাইল অফিসিয়াল কিনা চেক

অফিসিয়াল মোবাইল বলতে কি বুঝায়?

সহজ ভাষা, যে মোবাইলটি বৈধভাবে সরকারকে টেক্স দিয়ে দেশে আমদানি করা হয়েছে সেটিই হলো অফিসিয়াল মোবাইল। একটি বৈধ মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার, কে আমদানি করেছে, ফোনটির মডেল কি এসব বিস্তারিত তথ্য সরকারের কাছে নথিভুক্ত হয়।

বৈধ/অফিসিয়াল মোবাইলের বৈশিষ্ট্যগুলো

একটি বৈধ মোবাইলে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থাকে যেমন-
  1. টেক্স প্রদানকৃত।
  2. দাম বেশি।
  3. অফিসিয়াল আইএমইআই(IMEI) নম্বর।
  4. অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি কার্যকর থাকে।
  5. হারিয়ে গেলে ট্রাক করা সহজ।
  6. ক্রুটি থাকার সম্ভাবনা নেই।

আন-অফিসিয়াল মোবাইল বলতে কি বুঝায়?

যে মোবাইলে অবৈধভাবে সরকারে টেক্স ফাঁকি দিয়ে দেশে আমদানি করা হয়েছে সেটিই হলো আন-অফিশিয়াল মোবাইল। এই ধরণের মোবাইলে ব্যপারে সরকারে কাছে কোন তথ্য থাকে না। বাংলাদেশে ভারত থেকে অবৈধভাবে বর্ডার পার করে আনা মোবাইলগুলো বেশি দেখা যায়।

অবৈধ/আন-অফিশিয়াল মোবাইলের বৈশিষ্ট্যগুলো

একটি আন-অফিসিয়ার মোবাইল যে বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করা যায় সেগুলো হলো
  1. টেক্স ফাঁকি দেয়া।
  2. দাম তুলনামূলক কম।
  3. অফিশিয়াল নাম্বার রেজিস্ট্রার্ড নয়।
  4. ওয়ারেন্টি অকার্যকর হয়।
  5. হারিয়ে গেলে ট্রাক করা কষ্টসাধ্য।
  6. বেশিভাগ ক্ষেত্রে ক্রুটি থাকে।

অফিসিয়াল এবং আন-অফিসিয়াল মোবাইলের মধ্যে পার্থক্য কি?

আপনার ইতোমধ্যেই অফিসিয়াল এবং আন-অফিসিয়াল মোবাইলের বৈশিষ্টগুলো পড়ে জানতে পেরেছেন এগুলো মধ্যে পার্থক্য কী।

সবচেয়ে বেশি পার্থক্য দেখা যায় মোবাইলের দামে। একটি অফিসিয়াল মোবাইলের দাম প্রায় নির্ধারিত থাকে, অন্যদিকে আপনি আন-অফিসিয়াল মোবাইল কেনার সময় দেখবে দরদাম করা যায় এবং অফিসিয়াল মোবাইলের চেয়ে কম দামেও পাওয়া যায়।

এছাড়া, আপনি আন-অফিশিয়াল মোবাইলে ওয়ারেন্টি হতে বঞ্চিত হবে। হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়ার চান্স কম। নতুন কিনে কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

মোবাইল অফিসিয়াল কিনা চেক করার নিয়ম

একটি মোবাল অফিসিয়ার কিনা তা চেক করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে। এখানে আমরা মোবাইলে অফিসিয়াল কিনা তা চেক করার দুইটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানব।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেভাবে চেক করবেন

এমন অনেক ওয়েবসাইটে আছে যেখানে আপনার আপনার মোবাইলের আইএমইআই (IMEI) নম্বর দিয়ে মোবাইল অফিসিয়াল কিনা তা চেক করতে পারবেন। তবে এই পদ্ধতি আইফোন এবং এন্ড্রয়েড মোবাইলে ভিন্ন হতে পারে।

এন্ড্রয়েড-এর জন্য (For Android)

ধাপ ১: প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইলের আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি চেক করতে হবে। আইএমইআই (IMEI) নাম্ব বের করতে নিচের যেকোন একটি উপায় অবলম্বন করুন

  1. ডায়াল করুন *#06#; আপনার আইএমইআই(IMEI) নম্বর দেখবেন
  2. মোবাইলের Settings> about phone>  IMEI
    IMEI check

ধাপ ২: ব্রউজারে গিয়ে imei.info নামক ওয়েসাইটে প্রবেশ করুন। আপনার আইএমইআই(IMEI) নম্বরটি পেস্ট করুন।

ধাপ ৩: এবার দেখুন আপনার মোবাইলের স্পেসিফিকেশনের সাথে ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যগুলো মিল আছে কিনা। 

যদি মিল থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার মোবাইলটি অফিসিয়াল অন্যথায় আন-অফিশিয়াল।

আইফোন-এর জন্য (For iphone)

ধাপ ১: মোবাইলার Settings> General> about-এ গিয়ে আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি কপি করুন।

ধাপ ২: এবার ব্রউজারে গিয়ে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি দিন।

ধাপ ৩: এবার ওয়েবসাইটে আসা তথ্যগুলো সাথে আপনার মোবাইরের স্পেসিফিকেশন মিলিয়ে দেখুন। 

যদি মিলে যায় তাহলে বুঝবেন আপনি মোবাইল অফিসিয়াল আর না মিললে আন-অফিশিয়াল।

উপসংহার

এই আর্টিকেলে অফিসিয়াল এবং আন-অফিসিয়াল মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। আশা করি আপনার অফিসিয়াল এবং আন-অফিসিয়াল  মোবাইল সুবিধা এবং অসুবিধাগুরো ব্যক্ত করতে পেরেছেন।

সব সময় চেষ্টা করবেন অফিসিয়াল মোবাইল কেনার এবং কেনার আগে তা চেক করে নিবেন।

Comments